আইসিসি রেগুলেশন ২.১.১ পড়ে যা বুঝলাম তার মূলকথা হলো, অভিযুক্ত বোলারকে আম্পায়ার শুধুমাত্র ধারনার ভিত্তিতে সন্দেহ করতে পারবে না।কোন দিক বিবেচনায় এবং কোন ধরনের ডেলিভারির জন্য তাকে সন্দেহ করা হচ্ছেতা ম্যাচ রিপোর্টে লিখিতভাবে জমা দিতে হবে। ভারতীয় আম্পায়ার S. Ravi এ বিষয়টি নির্দিষ্ট করেননি। সুতরাংতাসকিনের পরীক্ষা নেওয়াটাই অবৈধ।In fact, টেস্ট গ্রাউন্ডে তাসকিনকে যেকোন উপায়ে অবৈধ প্রমাণ করার নীলনকশা আগে থেকেই প্রস্তুত করা ছিলো। সব উপায় যখন ব্যর্থ হয়,তখন্ তাসকিনকে মাত্র ৩ মিনিটে ৯ টি বাউন্সার দিতে বলা হয়, তাও স্পীডের ভ্যারিয়েশন বারবার চেঞ্জ করিয়ে যেখানে ১জন খেলোয়াড় এর পক্ষে পুরো খেলোয়াড়ী জীবনে ৩ মিনিটে ৯টা বাউন্সার সেওয়া অসম্ভব, সেখানে ২০ বছরের ১টা ছেলে এত লম্বা জার্নি করে এমন পরীক্ষা দেওয়ার জন্য মানসিক ও শারীরিকভাবে সক্ষম ছিলো কি ?বলা হচ্ছে, তাসকিনের সেই ৯টি বাউন্সারের মধ্যে ৩টি সন্দেহজনক, যেই ৩টি তাকে ১৫০ এর কাছাকাছি গতিতে করতে বলা হয়েছিলো। তাহলে কি আইসিসি নিজেই নিশ্চিত না? আইসিসি কি সন্দেহের ভিত্তিতে কাজ করে? তাসকিনের মেডিক্যাল রিপোর্টই বা কই?এই ৩টি সন্দেহজনক ডেলিভারী বাদে বাকী সব ডেলিভারী নাকি বৈধ ! আইসিসির ভাষায়, তাসকিনের স্টক ডেলিভারি বৈধ. সুতরাং, তাসকিন সব ধরনের ক্লাব ও লীগ ক্রিকেট খেলতে পারবে। সিরিয়াসলী? মানে, যেই জিনিস মদ, সেই জিনিস আবার ফ্রুটিকা হয় কি করে?সবচেয়ে মর্মান্তিক ব্যাপার হলো, আইসিসি রেগুলেশন 2.3.1 যেখানে বলা হচ্ছে, স্টক ডেলিভারী বৈধ থাকলে, সন্দেহজনক আংশিক ডেলিভারির জন্য ১জন বোলারকে সর্বোচ্চ সতর্ক করা যাবে, তার খেলা পর্যবেক্ষনে রেখেপ্রয়োজনে পুনরায় পরীক্ষা নেওয়া যাবে, কিন্তু কোন অবস্থায় নিষিদ্ধ করা যাবে না। সুতরাং আইসিসি তাদের এই রেগুলেশনটিও লংঘন করেছে। এই রেগুলেশনের ভিত্তিতেই দেশী বিদেশী মিডিয়া শুরুতে তাসকিনকে বৈধ বলে খবর প্রচার করছিলো।এখন বিসিবি শক্ত কোন লিগ্যাল এজেন্সীর মাধ্যমে আইসিসির বিরুদ্ধে আইনী লড়াইয়ে যেতে পারে। পাকিস্তান,ওয়েস্ট ইন্ডিজ,শ্রীলংকার সাথেও এমন অবিচার হয়েছে, কিন্তু তারা চুপ করে ছিলো। বাংলাদেশ কি পারবে অন্তত প্রতিবাদের শুরুটা করতে?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন